Header Ads

Header ADS

কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার যা আপনার দৈনন্দিন খাদ্যকে বদলে দেবে

৫টি স্বাস্থ্যকর খাবার

 ভূমিকা

বর্তমান যুগে স্বাস্থ্যের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই ব্যস্ত জীবনে অনিয়মিত জীবনযাত্রা, ফাস্ট ফুড প্রক্রিয়াজাত খাবারে নির্ভর করে। এর ফলে, গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ রক্তচাপ, মেদ বৃদ্ধিসহবিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। এজন্য আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্যকর খাবারবলতে আমরা সেইসব খাবার বুঝি, যেগুলোর মধ্যে পুষ্টির ঘনত্ব বেশি, ফাইবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, এবং কম পরিমানে ক্ষতিকর চর্বি, অতিরিক্ত চিনিসহ প্রক্রিয়াজাত উপাদান থাকে। এই খাবারগুলি শারীরিক কার্যকারিতা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদে সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।


বাংলাদেশের খাদ্যাভ্যাস পুষ্টি-চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় রেখে, নিচে কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার আলোচনা করা হলো, যেগুলি সহজলভ্য হলেও প্রভাবশালী।


মাছ (বিশেষ করে ছোট প্রজাতির মাছ)

কেন মাছ?

মাছ একটি উচ্চমানের প্রোটিন উৎস। বিশেষ করে জিংক, আয়রন, ওমেগা- ফ্যাটি অ্যাসিড (EPA DHA), ভিটামিন D ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান প্রদান করে। সাধারণত মানুষ বড় মাছ বেশি খেতে পছন্দ করে, কিন্তু ছোট মাছের পুষ্টিগুণ অনেক ক্ষেত্রেই বেশি হতে পারে কারণ হাড় লোনা অংশসহ খাবার ফলে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ছোট মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট গুলি পাওয়া যায়।

বিশ্বব্যাংক অন্যান্য পুষ্টি গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের “nutrition-sensitive aquatic food system” উদ্যোগের মাধ্যমে খাদ্য সিকিউরিটি পুষ্টি উন্নয়নের উপায়গুলোর মধ্যে মাছকে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা দেওয়া হয়েছে। 

ডেনিশ-বাংলাদেশ গবেষকদের কাজ বিশেষ করে দেখিয়েছে, ছোট নেটিভ মাছ (যেমন: মধুমাছ, মল, ইলিশের কিছু অংশ ইত্যাদি) অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সরবরাহ করে এবং শস্য সবজির আয়রন জিঙ্ক শোষণকে উন্নত করতে সহায়ক। 

মাছ (বিশেষ করে ছোট প্রজাতির মাছ)

খাবার হিসেবে ব্যবহারের পরামর্শ

  • সপ্তাহে অন্তত - দিন মাছ খাওয়া উচিত।
  • ভাজা নয়, বরং উত্তাপিত, গ্রিল, স্টিম বা হালকা স্যাঁতার পদ্ধতিতে মাছ প্রস্তুত করা ভালো।
  • মাছের সঙ্গে প্রচুর সবজি রঙিন শাক-সবজি সংযুক্ত করলে পুষ্টি গুণ আরও বাড়ে।
  • মাছ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, যেন ভাঙাচোরা অংশ বা ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি না ঘটে।

উদ্বেগ এবং সতর্কতা

  • বড় মাছ (বিশেষ করে যারা মেরুদ্রোহণকারী) এসিডি বা মেথিমার ধরনের ভারী ধাতু (যেমন পারদ) সঞ্চয় করতে পারে, তাই শিশু, গর্ভবতী বৃদ্ধদের কিছু ধরণ মাছ সীমিত মাত্রায় খাওয়ার পরামর্শ।
  • মাছ খাওয়ার আগে ভালোভাবে পরিষ্কার বিশুদ্ধভাবে ধুয়ে রান্না করা জরুরি।

সবুজ শাক-সবজি রঙিন সব্জি

কারণ

শাক-সবজি রঙিন সব্জির মধ্যে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন (A, C, K), মিনারেল (পটাসিয়াম, ম্যাগ্নেসিয়াম) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এগুলি আমাদের শরীরকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস প্রদাহ থেকে রক্ষা করে।

FAO- এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য (যেমন সবজি, ফল, বাদাম) মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যপথে অপরিহার্য।  এছাড়া বাংলাদেশের “Food-based dietary guidelines” প্রণয়নের কাজেও শাক-সবজি অংশ হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। 

এক গবেষণা “Nutrient density of Bangladeshi foods” বিশ্লেষণে শাক-সবজির কিছু প্রজাতি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ, যেমন আয়রন, ভিটামিন A প্রভৃতি। 

কী ধরনের সবজি

সবুজ শাক-সবজি ও রঙিন সব্জি

  • সবুজ শাক: পালং শাক, লাল শাক, মুলা পাতা, রুই শাক ইত্যাদি
  • রঙিন সবজি: গাজর, ক্যাপসিকাম, টমেটো, ব্রকলি, ঝুড়ি বা বেল মরিচ
  • শসা, ব্রাসেলস স্প্রাউট, ফুলকপি, বেগুনি বাঁধাকপিভিন্ন ধরনের সবজি খাদ্য বিভাজনে সহায়ক

প্রস্তুত ব্যবহার পদ্ধতি

  • শাক-সবজি খুব বেশি সিদ্ধ না করাএকটু সেদ্ধ বা সেঁকা ভালো।
  • সবজি মিক্সড সালাদ বা স্টার ফ্রাই করা যেতে পারে, স্বল্প তেল কাজে লাগিয়ে।
  • প্রতিদিন রঙিন সবজি মিক্স করে খাওয়া ভালোএক রকম সবজি কখনোই সব কিছু সমৃদ্ধ করবে না।
  • যে সবজিতে পেস্ট বা মুখরোচক স্বাদ লাগবে, সেগুলিতে তাজা লেবুর রস বা সামান্য নুন-গুরুডে স্বাদ দেওয়া যেতে পারে যা পুষ্টি নষ্ট করে না।

বাদাম, বীজ ডাল

কারণ

বাদাম বীজ (যেমন: বাদামী বাদাম, কাজু, আলমন্ড, তিল, চিয়া বীজ, ফ্ল্যাক্স সীড) অনেক ধরনের স্বাস্থ্যকর চর্বি (মনো- পলিফ্যানিক), প্রোটিন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট (ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ইত্যাদি) সরবরাহ করে।

ডাল (যেমন মসুর, মুগ, ছোলা, রাজমা) ফসলভিত্তিক প্রোটিন ফাইবার সরবরাহ করে, কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহকারী।

একটি গবেষণা “Food Composition Table for Bangladesh” বিবৃত করেছে, বাংলাদেশি খাদ্যে ডাল বাদামগুলির পুষ্টিগত গঠন বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

ব্যবহারের পরামর্শ

বাদাম, বীজ ও ডাল

  • প্রতিদিন কয়েক বাদাম (আলমন্ড, বাদাম) হালকা পোড়া বা কাঁচাতবে অতিরিক্ত তেলবাহী বা লবণ যুক্ত বাদাম এড়িয়ে চলুন।
  • বীজ যেমন তিল, চিয়া সীড বা ফ্ল্যাক্স সীড স্যালাড, দই, শাক-সবজি সঙ্গে মেশাতে পারেন।
  • ডাল দিয়ে সাদা চালের পরিমানে কমিয়ে, ডালমিশ্রিত খাবার (ডাল-ভাত, ডাল-সবলিয়া) খাওয়া যেতে পারে।
  • লেগিউম এবং বাদাম/বীজ এক সঙ্গে রাখলে প্রোটিনের পরিপূর্ণতা পাওয়া যেতে পারে।

সতর্কতা

  • বাদাম বীজ অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত থাকে, অতিরিক্ত খাওয়া ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • যাদের এলার্জি আছে, তাদের আগে যাচাই করে খাওয়া উচিত।
  • অতিরিক্ত লবণযুক্ত বাদাম বাজারজাত অনেক ক্ষেত্রে বিক্রি হয়সেসব বিকল্প এড়িয়ে চলুন।

ফুল ফল মৌসুমি ফল

কারণ

ফল সাধারণত কম ক্যালোরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন C, পানির পরিমাণ ফাইবার সরবরাহ করে। ফল শরীরে এসিডবেস ভারসাম্য বজায় রাখতে, কোষধ্বংস রোধ করতে এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়ক।

Bangladesh- প্রযোজ্য “Food-based dietary guidelines” অনুযায়ী, প্রতিদিন ফল সবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। 

একটি গবেষণা “Cost of Recommended Diet (CoRD) and Its Affordability in Bangladesh” দেখিয়েছে, যদিও ফল সবজির খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে, কিন্তু ফল সবজি পুষ্টির দিক থেকে অত্যন্ত কার্যকর। 

কী ধরনের ফল

ফুল ফল ও মৌসুমি ফল

  • মৌসুমি ফল: আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, নারকেল, পেঁপে, লিচু ইত্যাদি
  • সবসময় পাওয়া ফল: কলা, আপেল, কমলা, স্ট্রবেরি (যেখানে পাওয়া যায়)
  • বেরি ধরনের ফল, যেমন ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি (যদি পাওয়া যায়) – অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

ব্যবহার পদ্ধতি

  • ফল মস্ত শরীরচর্চারের আগে বা পরে খাওয়া যেতে পারে।
  • স্যালাডে ফল যোগ করা যায়, দই বা ওটসের সঙ্গে মেশানো যায়।
  • সাধারণত রস না করে পুরো ফল খাওয়া ভালোফাইবার বজায় থাকে।
  • অতিরিক্ত সুইট সিরাপ বা শর্করা যুক্ত ফলপ্রস্তুত এড়িয়ে চলা উচিত।

সতর্কতা

  • ডায়াবেটিস রোগীদের খুব মিষ্টি ফল সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
  • ফল ধোয়া ছাঁচ/ক্ষতিকর ধরনের অংশ কেটে খাওয়া উচিত।

দই, ঘৃত (যেমন গী) প্রকৃত ঘৃতজাত পণ্য (যেমন ঘৃত, সরিষার তেল, অলিভ অয়েল)

কারণ

  • দই (প্রোবায়োটিক দই): প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া পুষ্টির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দইতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, B ভিটামিন প্রোবায়োটিক থাকে, যা হজম অন্ত্রস্বাস্থ্য উন্নত করে।
  • ঘৃত / গী অলিভ অয়েল / সরিষার তেল: সর্ষার তেল বা অলিভ অয়েলে মনো- পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হৃদয় স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। গী এক প্রাকৃতিক ঘৃত যা অনেক ভারতীয় বাংলাদেশি রান্নায় প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত।

বাংলাদেশের খাদ্য নির্দেশিকা (Food-based dietary guidelines) তেল চর্বির সীমিত ব্যবহার পরামর্শ দেয়। 

ব্যবহারের পরামর্শ

দই, ঘৃত (যেমন গী) ও প্রকৃত ঘৃতজাত পণ্য (যেমন ঘৃত, সরিষার তেল, অলিভ অয়েল)

  • দই: প্রতিদিন অন্তত একবার (যেমন সন্ধ্যায় খাবারের পর) খাওয়া যেতে পারে, বিশেষ করে যেসব দই প্রোবায়োটিকভাবে সমৃদ্ধ।
  • ঘৃত / গী: চামচ মাত্রা ব্যবহার করা যায়, বিশেষ করে ভাজা মশলা, রান্নার গন্ধ বাড়াতে।
  • তেল: শীতল চাপিত তেল (cold‐pressed) যেমন সরিষার তেল, অলিভ অয়েল মাঝারি তাপমাত্রায় ব্যবহার করলে ভালো।
  • তেল ঘৃত মিলিয়ে ব্যবহার না করার পরামর্শঅর্থাৎ এক রকম তেলে রান্না করা ভালো।

সতর্কতা

  • অত্যধিক ঘৃত বা তেল খাওয়া ক্যালোরি লিপিড অনিয়ম বাড়াতে পারে।
  • তেল ঘৃত অনেক সময় অক্সিডাইজ হয়ে যাবে যদি সঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা হয়।
  • বয়স স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী চর্বি ব্যবহারের সীমা মেনে চলা উচিত।

প্রতিদিনের খাদ্য পরিকল্পনায় এই পাঁচটি খাবার কীভাবে যুক্ত করবেন

নিচে একটি উদাহরণমূলক দৈহিক খাদ্য পরিকল্পনা দেওয়া হলো, যেখানে উপরের পাঁচটি ধরনের খাবারকে যুক্ত করা হয়েছে:

সময়

খাবার

কোন পাঁচ ধরনের খাদ্য অন্তর্ভুক্ত

সকাল

ওটস + দই + ফল (কিছু বাদাম)

দই, ফল, বাদাম/বীজ

মাঝ দুপুর

রুটি/ভাত + মসুর ডাল + সবজি (রংবেরঙ) + ছোট মাছ

ডাল, সবজি, মাছ

বিকেল স্ন্যাক্স

সালাদ (শ্যাক-সবজি + ফল) + কিছু বাদাম

শাক-সবজি, ফল, বাদাম

রাত

চাল + ডাল + মাছ বা মুরগি + সবজি + দই

ডাল, মাছ, সবজি, দই

মাঝে মাঝে

রান্নায় অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল / গী

তেল/ঘৃত

এই পরিকল্পনায় প্রতিদিন এই পাঁচটি খাদ্য গোষ্ঠী প্রায় অন্তর্ভুক্ত হবে।


প্রশ্ন উত্তর (FAQ)

প্রশ্ন : আমি নিরামিষভোজী, তাহলে মাছ ছাড়া কি বিকল্প?
উত্তর: হ্যাঁ, নিরামিষভোজীদের জন্য বিকল্প হিসেবে আপনি সয়াবিন, টোফু, ছোলা, রাজমা, বাদাম বীজ বেশি রাখতে পারেন। এছাড়া অ্যাল্জার্নেটিভ মাছের মতো সীউড প্ল্যান্ট (যদি পাওয়া যায়) অথবা ওমেগা- যুক্ত ভেষজ supplément (ক্ষুদ্র মাত্রায় এবং চিকিৎসকের পরামর্শে) ব্যবহার করতে পারেন।

প্রশ্ন : শিশু বৃদ্ধের জন্য এই খাবারগুলি কতটা উপযুক্ত?
উত্তর: এই পাঁচটি ধরনের খাবার মূলত প্রতিটি বয়সে উপকারি, তবে পরিমাণ প্রস্তুতীকরণ পদ্ধতি বয়স শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী ঠিক করতে হবে। শিশুদের জন্য কঠিন বা হাড়যুক্ত মাছ এড়ানো যেতে পারে। বৃদ্ধদের জন্য শুকরানী রাঁধা, সবজি ভালোভাবে সিদ্ধ বা হালকা রান্না করা ভাল।

প্রশ্ন : আমি ডায়াবেটিস রোগী, ফল খাওয়া পারব?
উত্তর: হ্যাঁ, কিন্তু মিষ্টি ফল সীমিত মাত্রায় খাওয়া ভালো। রকমারি কম সুগারযুক্ত ফল (যেমন পেয়ারা, জাম, কাঁঠাল কম পরিমাণ, আপেল ইত্যাদি) এবং রস না করে পুরো ফল খাওয়া ভালো।

প্রশ্ন : কি কারণে এই খাবারগুলিস্বাস্থ্যকরবলা হলো?
উত্তর: যেহেতু এগুলোর মধ্যে ফাইবার, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, অনুষঙ্গিক উজ্জ্বল পুষ্টি উপাদান (ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট) থাকে এবং অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত উপাদান অথবা ক্ষতিকর চর্বি বা অতিরিক্ত চিনির পরিমাণ কমতাই এরা শরীরের প্রধান চাহিদা মেটাতে সক্ষম রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

প্রশ্ন : যদি বাজেট কম হয়, তাহলে কি বিকল্প?
উত্তর: হ্যাঁ।

  • স্থানীয় মৌসুমি সবজি ফল বেছে নিন (সস্তা পুষ্টিকর)
  • ব্যাগিরান স্থানীয় মাছ (ছোট মাছ) কিনুনদাম তুলনায় কম হলেও পুষ্টির দিক ভালো।
  • ডাল বীজ বেশি করুনডাল সাধারণত সস্তা প্রচুর পুষ্টি দেয়।
  • তেল ঘৃত ব্যবহার সীমিত করুন; গরম রোগ বা অতিরিক্ত তেলবাহী প্রস্তুত এড়িয়ে চলুন।

উপসংহার

এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করলাম কিছু স্বাস্থ্যকর খাবারমাছ, শাক-সবজি রঙিন সবজি, বাদাম/বীজ ডাল, ফল, দই স্বাস্থ্যকর চর্বি (গী/তেল)এবং এগুলোকে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে কীভাবে যুক্ত করা যায়। আমরা দেখেছি, এই খাবারগুলোর পুষ্টি গুণ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং স্বাস্থ্যের বিভিন্ন দিক উন্নত করার ক্ষমতা আছে।

যদিও কোনো একটি খাবার পুরো পুষ্টি সরবরাহ করতে পারবেনা, তবে বৈচিত্র্যময় সুষম খাদ্য গঠন করলে দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ থাকা সম্ভব। খাদ্য অভ্যাসে ধীরে ধীরে এই পরিবর্তন আনা উচিতএকদিনে সব পাল্টে ফেলা কঠিন হবে।

 

৫টি স্বাস্থ্যকর খাবার, স্বাস্থ্যকর খাদ্য, পুষ্টিকর খাবার, স্বাস্থ্য ব্লগ, বাংলা স্বাস্থ্য টিপস, শাকসবজি, মাছ পুষ্টি,দই ও প্রোবায়োটিক, ফল ও বাদাম, সুষম খাদ্য

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.